খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২০ এপ্রিল, নয়াদিল্লি: শুক্রবার সারা দেশে ২১টি রাজ্যে ১০২টি কেন্দ্রে প্রথম দফার ভোটগ্রহণপর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে নাগাল্যান্ডও। গোটা দেশের সঙ্গে তাল রেখে নাগাল্যান্ডেও চলছে ভোট। তবে সেখানে ৬ টি জেলায় ভোটের হার প্রায় শূন্য। যেখানে দেশের অন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভোটের উৎসবে মেতেছেন মানুষ।
সেখানে নাগাল্যান্ডের এই ৬ টি জেলায় ভোটের হার একেবারে নেই বললেই চলে। এই ছটি জেলায় ৭৩৮ টি পোলিং স্টেশন করা হয়েছিল। ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষের বেশি। তবে কাউকেই ভোটকেন্দ্রের দিকে যেতে দেখা যায়নি। কয়েকজন সরকারি আধিকারিক ভোটদান করেছেন। তাঁদেরও পরিবারের সদস্যরা বুথে যাননি।
এর কারণ হল, পূর্ব নাগাল্যান্ডের প্রভাবশালী সংগঠন ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট এই এলাকায় ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। ইএনপিএ-র দীর্ঘদিনের দাবি, পূর্ব নাগাল্যান্ডের ২০ টি বিধানসভা কেন্দ্র করে পৃথকভাবে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ড টেরিটরি তৈরি করতে হবে।
এই সংগঠন আগেই ঘোষণা করেছিল ভোট প্রক্রিয়া শুরুর আগে যদি ফ্রন্টয়ার নাগাল্যান্ড টেরিটরি তৈরির বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া হল তবে তারা ভোট বয়কট করবে। বাস্তবে দেখা গেল সেটাই হল। কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, এই ঘটনা নজিরবিহীন। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিপুল সংখ্যায় মানুষের ভোট বয়কটের এমন নজির মাওবাদী এলাকাতেও নেই।
যদিও নাগাল্যান্ডের ওই ছয় জেলার হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কমিশন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তেমন কোনও আভাস সরকারি রিপোর্টে ছিল না।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কমিশনের বক্তব্য, ওই সংগঠন মানুষকে ভোটদানে বাধা দিয়েছে। যদিও ইএনপিও পাল্টা বলেছে, ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। মানুষ সে ডাকে সাড়া দিলে তাদের কিছু করার নেই। সংগঠন কোথাও ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেয়নি।