খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৮ এপ্রিল, কলকাতা: প্রায় সাড়ে তিনমাসের মাথায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট হাতে পেল ইডি। বৃহস্পতিবার কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে ওই রিপোর্ট ইডি দফতরে এসে পৌঁছেছে। তবে ভয়েস ক্লিপের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর মিলেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে ইডির টার্গেট ছিল কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা। কিন্তু বহুবার চেষ্টা করেও বিফল হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্হা। হাসপাতালের তরফে বলা হয়, ধৃতের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, ফলে সেসময় তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। সেই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা।
শেষমেশ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জোকা ইএসআই হাসপাতালে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সুজয় ভদ্রকে। কিন্তু তার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট পাচ্ছিল না ইডি। সম্প্রতি এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। পরবর্তীতে রিপোর্ট চেয়ে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে চিঠি পাঠায় ইডি। এবার অবশেষে ইডির হাতে রিপোর্ট।
আগামী ২২ এপ্রিল, সোমবারই সেই রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে তদন্তকারী দল। ২০২৩ এর মার্চ মাসে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মচারী ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত কাকু। গ্রেফতারের পরে মাসের পর মাস ধরে এসএসকেএমে ভর্তি থেকেছেন কাকু। বর্তমানে তার ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল।