খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৮ এপ্রিল, কলকাতা: নবম-দশম, একাদেশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দিল ইডি। বৃহস্পতিবার ইডির বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। ৩০০ পাতার মূল চার্জশিটের পাশাপাশি ১৭ হাজারেরও বেশি পাতার নথিও আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তালিকায় রয়েছে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রসন্ন রায় সহ ১৮ জন এবং ৯০ টি সংস্থার নাম। এই মামলায় একাধিক মিডলম্যান জড়িত রয়েছে বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। চার্জশিটে উল্লেখ করা আছে যে, ২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। নগদ ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রসন্ন রায় তাঁর নিজের এজেন্টদের মাধ্যমে বিপুল টাকা তুলতেন। প্রত্যেকটি জেলা থেকেই বিপুল টাকা তোলা হয়। এর পর সেই কালো টাকা ৯৩টি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়। ইডি মনে করছে, এই মামলায় একাদশ-দ্বাদশ অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা ১১২০ জনের কাছাকাছি।
নবম-দশমে সেই সংখ্যা ৯৪৬ জনের কাছে। প্রসন্ন ও শান্তিপ্রসাদ ছাড়া বেশ কয়েকজন এজেন্টের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইডি এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে, যাঁরা এখন সিবিআইয়ের মামলায় জেলবন্দি। উল্লেখ্য, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ১০ অগস্ট এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
তার আগে ওই বছরের ৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছিল শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।
অন্য দিকে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের নাম পেয়েছিল সিবিআই। প্রসন্নকে এর পরে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। যদিও বেশ কিছু শর্ত দিয়ে সিবিআইয়ের মামলায় তাঁকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর তাঁকে ইডি গ্রেফতার করে। এ বার আদালতে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ইডির জমা দেওয়া চার্জশিটে উঠে এল তাঁদের নাম।