‘বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় খুলে রেখে চলে যায়’, ভোট প্রচারে ফের কীর্তিকে নিশানা দিলীপের

0
29

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৩০ মার্চ, কাটোয়াঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কুকথা’র অভিযোগে সদ্যই নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছিল দিলীপ ঘোষকে। সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান তিনি। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের স্বমহিমায় বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।

এ বার পুজো দিতে গিয়ে পুরোহিতকে দিলীপ বললেন, ‘‘মাকে বলুন যাতে বর্ধমান দুর্গাপুরের সম্মান রাখতে পারি। বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় খুলে রেখে চলে যায়।’’ শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কামনাড়ার গৌর কালীবাড়ি মন্দিরে পুজো দেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ।

পুজো দিয়ে তিনি পুরোহিতের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন। মন্দিরের পূজারী যদিও অবশ্য দিলীপ ঘোষের ‘অনুরোধে’র উত্তরে এই আর্জি তাঁকে না জানিয়ে, সরাসরি নিজেকেই দেবীর কাছে করতে বলেন! বলেন, “মাকে বলুন, মাকে বলুন।” কামনাড়ার পর তিনি পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে সৎখালি কালীবাড়িতেও যান। ওখানেও পুজো দেন।

কামনাড়া থেকে ভাতাড় যাওয়ার পথে বাইক র‍্যালিও হয় দিলীপ ঘোষের প্রচারে। এদিন সকালে বর্ধমানের লোকো এলাকায় (রেলের আবাসন) একটি ক্লাবের মাঠে ও শিশু উদ্যানে প্রাতঃভ্রমণ করেন দিলীপ। ক্রিকেট খেলেন। সেখান থেকেই কীর্তি আজাদকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “আমি রিটায়ার্ড নই। টায়ার্ডও নই। আমি এখনও সেভাবেই খেলি। যে মাঠে যাই সেভাবেই খেলি। এবং জিতি। জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেব। ওরা তো তালই পাবে না, কখন ইলেকশন পার হয়ে যাবে।”

দিলীপের এই মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘উনি খারাপ কথা বলে বাংলার মানুষকে অসম্মান করছেন।’’ কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুকে হাতিয়ার করে তাঁকে পালটা জবাব দেন কীর্তি আজাদ।  তাঁর খোঁচা, “মোদি সরকার বাংলার লোকেদের জন্য কী করেছেন আগে তা বলতে বলুন।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here