খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৭ এপ্রিল, কলকাতা: ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল চার ভোটারের। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শীতলকুচির ওই বুথে থাকবে না কোনও সিআইএসএফ জওয়ান।
পরিবর্তে সেখানে বিএসএফ, সিআরপিএফ অথবা আইটিবিপির বাহিনী পাঠানো হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। ১ কোম্পানি অর্থাৎ আটজন জওয়ান থাকবেন সেই গুলি চলা বুথটিতে। ২১-এর নির্বাচনের মতো কোনও ঘটনা যাতে এবার না ঘটে সেই দিকে নজর রয়েছে কমিশনের। ২০২১-এর ১০ এপ্রিল ভোটের দিন শীতলকুচির জোরপাটক গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছিল।
তিন বছর আগের সেই ঘটনার কথা বার বার লোকসভা ভোটের প্রচারে উঠে এসেছে। শুধু শীতলকুচি নয়, গোটা কোচবিহার জেলা নিয়েই এ বার বাড়তি সতর্ক কমিশন। সেখানে ভোটে নজরদারির জন্য বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। গত শনিবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে পর্যাপ্ত। সব বুথে থাকবেন সেই বাহিনী। ফলে কোনও অশান্তির ঘটনা যাতে না ঘটে, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তা নিশ্চিত করতে হবে জেলা-কর্তাদের। ভোটের দিন প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনকে।
কোচবিহার জেলায় ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও সাড়ে চার হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি দু’টি জেলার তুলনায় ওই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে ২৪৫৪ জন রাজ্য পুলিশকর্মী। জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৩০৭৭ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।