খবরিয়া নিউজ ডেস্ক, ২২শে জুন, কোচবিহারঃ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বৃহস্পতিবার থেকে রীতিমতো ঝড় উঠল প্রচারে। প্রচারে ঝড় তুলতে এদিন কোচবিহারে আসেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বাবুল সুপ্রিয় এবং রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। আলাদা আলাদা ভাবে প্রচার করলেও এদের প্রত্যেকের গলাতেই শোনা গেল উন্নয়নের বার্তা।
দিনহাটায় অরূপ বিশ্বাস জানান, বিগত দিনে দিনহাটা বাসী যাকে সাংসদ হিসেবে ভোটে জয়ী করিয়েছিলেন তিনি অদৃশ্য। উন্নয়ন তো দূরের কথা সাংসদকে দেখা যায় না দিনহাটার মাটিতে। যদিও বা তিনি আসেন, কালো গাড়িতে করে লম্বা কনভয়ে ঘুরে বেড়ান। সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ তার নেই, দিনহাটার মানুষের ভাবা প্রয়োজন আরো একবার সেই দলকেই ভোট দেবেন কিনা? এছাড়াও তিনি বলেন, ২০১৮ সালের পরে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থায় দিনহাটা ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক সংযোগের ক্ষেত্রে। এখন শুধু দিনহাটা নয় বাংলার প্রতিটি বাড়িতেই বৈদ্যুতিক আলো পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সড়ক ব্যবস্থা, এবং সম্প্রতি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। এই উন্নয়নকে সামনে রেখে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষকে ভোট দানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
কোচবিহার এক নম্বর ব্লকে, বাবুল সুপ্রিয় নিজের বক্তব্যেও নিয়ে এসেছেন উন্নয়নের প্রচার। একই সাথে তিনি বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে কটাক্ষ করে জানান, শুধুমাত্র ধর্মের রাজনীতি ইডি এবং সিবিআই দিয়ে নির্বাচন বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে বিজেপি। লাগাতার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সেই সাথে সাংবিধানিক অধিকার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রাখা সাধারন মানুষকে যন্ত্রণার মুখে ফেলেছে। মুখে বড় বড় প্রতিশ্রুতি কর্মক্ষেত্রে মানুষকে শুধু বঞ্চনা করাটাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। বিশেষ করে বাংলার মানুষকে। কারণ বাংলার মাটিতে বিজেপির আর ঠাই নেই তারা বুঝে ফেলেছে।
কোচবিহারের মাথাভাঙ্গাতে দাঁড়িয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘মানুষের বিপদে আপদে বিজেপির কোনো বিধায়ক নেতাকে দেখা যায় না, দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতৃত্ব এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুব যোদ্ধাদের। আগামী দিনে তারাই পথ দেখাবে।
প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল পুরুষদের তুলনায় বেশি।